Time Management
![](https://www.listeningwordsbd.com/wp-content/uploads/2023/06/time-management.png)
About Course
চলুন দুজন মানুষের কথা চিন্তা করা যাক। একজন সকালে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে, চায়ের কাপ হাতে পত্রিকায় চোখ বুলিয়ে অফিস টাইমেই অফিসের উদ্দেশ্যে বের হোন। অফিস শেষে বাজার করা, জিম সেন্টারে যাওয়া, বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানো, ঘরে স্ত্রীকে টুকটাক সাহায্য করা, আত্মীয় স্বজনের খবরাখবর নেওয়া, সালাত আর কুরআন তেলাওয়াত এবং সবশেষে নিজের শখের কাজ বই পড়া কিংবা শিক্ষণীয় কোনো ভিডিও বানানো। সেটাও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেই করে ফেলতে পারেন। অন্যদিকে আরেকজন প্রথমজনের মতোই সমান সময় ২৪ ঘন্টা পেয়েও একটা করতে গিয়ে আরেকটা করতে পারছে না। দৌড়াদৌড়ি করে সময়ের নাগালই পায় না বেচারা দ্বিতীয় ব্যক্তি।
এমন কেন হয় জানেন? সময়ের সঠিক ব্যবহার না করতে পারার ফলে। প্রথমত সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা না করতে পারার ফল। বহুল প্রচলিত ভাষায় যাকে আমরা টাইম ম্যানেজমেন্ট বলে জানি।
একজন মানুষের জীবনে টাইম ম্যানেজমেন্ট করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। গত হওয়া সময়কেও জীবনে আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না। একজন মানুষ সফল হয় ২৪ ঘন্টাকে উত্তমরূপে কাজে লাগিয়ে। আবার ব্যর্থ মানুষের জীবনেও সময় ২৪ ঘন্টাই থাকে। যা থাকে না সেটা হচ্ছে সময় ব্যবস্থাপনার সুন্দর পরিকল্পনা।
.
মূলত— সময়কে যথাযথভাবে সমস্ত কাজের মধ্যে ভাগ করা, এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজটা করে ফেলা। গুরুত্ব অনুযায়ী কোনো কাজ লিস্টের শুরুতে রাখা, আর কোনোটা শেষে বা মাঝের দিকে রাখা। কোনোটা নিজে না করে অন্য কাউকে দিয়ে করানোর ব্যাপারে যে পরিকল্পনা করা হয় সেটাই টাইম ম্যানেজমেন্ট।
টাইম ম্যানেজমেন্ট শুধু আপনার কাজগুলোই সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে তা নয়। বরং আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দিবে। আপনাকে আরও কর্মোদ্যমী করে তুলবে। আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এবং দিনশেষে আপনি আগামী দিনের সুন্দর পরিকল্পনা নিয়ে আরামের একটা ঘুম দিতে পারবেন। এভাবেই আপনিও আপনার জীবনে সফল হতে পারবেন। আর অবশ্যই ভুলে গেলে চলবে না,
জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করার কার্যকরী সূত্র হলো সময়ের সঠিক ব্যবহার।