What is কমিউনিকেশন?

▪️হোয়াট ইজ কমিউনিকেশন?

➤ কমিউনিকেশন বলতে আমরা বুঝি যেকোনো মাধ্যম ব্যবহার করে তথ্য আদান প্রদান বা অনুভূতি প্রকাশ করা।

প্রপার কমিউনিকেশন স্কিল বা যোগাযোগ দক্ষতা যেকোনো সম্পর্কে, আপনার নিজস্ব অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে, কাজে কর্মে দারুন সফলতা দিতে পারে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে গড়ে তুলবেন প্রপার কমিউনিকেশন স্কিল।

▪️ আমরা কিভাবে কমিউনিকেট করতে পারি?

➤ সর্ব প্রথম, যার সাথে আপনি কমিউনিকেট করতে চাইছেন তার লেভেল বুঝে নিতে হবে।
সে আপনার সিনিয়র, জুনিয়র, পরিচিত নাকি অপরিচিত সেটা হিসাব করে কথা বলতে হবে। কারণ আপনি ছোট বা পরিচিতদের সাথে যেভাবে কমিউনিকেট করবেন বড়দের সাথে সেটা করতে পারবেন না।

➤ আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে মানুষটা কোন বিষয়ে ইন্টারেস্টেড। কোন বিষয়ে কথা বলতে সে পছন্দ করে, কমফোর্ট ফিল করে।

➤ কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে সম্বোধন যথেষ্ট গুরুত্ব রাখে। আপনি যখন ওয়াইজলি সম্বোধন করে কথা শুরু করবেন, তখন মানুষটা আপনার কথা একটু বেশি গুরুত্ব দিয়ে শুনবে।

➤ যদি আমরা ম্যাসেজে কমিউনিকেট করতে চাই, তবে কখনোই প্রথমে Hi/ Hello/ সালাম দিয়ে বসে থাকবো না। চেষ্টা করবো সম্বোধন শেষে প্রয়োজন টা সাথে সুন্দর করে উপস্থাপন করে দিতে।

➤ যখন আপনি কারো সাথে আপনার জরুরতে কমিউনিকেট করবেন, তখন সামনের মানুষটাকে আপনার ইন্টারেস্টেড ফিল করাতে হবে। সে যেনো এটা অনুভব করে যে, আপনি তার সময়ের গুরুত্ব দিচ্ছেন। কনভারসেশন শেষে আপনি তাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেন, আপনাকে সময় দেবার জন্য।

➤ মানুষকে অহেতুক নক বা কল করবেন না। যতটুকু সময় প্রয়োজনে আপনি তার সাথে কথা বলবেন এমনভাবে কথা বলবেন যেনো সে ফিল করে সে একজন গুরুত্বপূর্ন মানুষ, আপনার কাছে তার সময়ের গুরুত্ব রয়েছে। নিজেদের প্রয়োজনে কথা বললেও চেষ্টা করতে হবে যেনো সামনের মানুষটাও কনভারসেশনে বেনিফিটেড হয়। তাহলে সে পরবর্তীতে আনন্দের সাথে আপনাকে সময় দিবে।

➤ যখন আপনি কাউকে নক করবেন, আপনার কথাগুলো বলার পর, আপনি এটাও সুন্দর করে বলে দিবেন, সে যেনো তার সুবিধামত সময়ে আপনাকে রিপ্লাই করে।
কোনোভাবে তার উপর যেনো প্রেশার ক্রিয়েট না হয়। এতে করে আপনার ভদ্রতার জন্য হলেও সে সুযোগ পেলেই আগে আপনাকে রিপ্লাই দেবার চেষ্টা করবে ।

➤ সামনাসামনি কথা বলার মাধ্যমে কমিউনিকেশন এর ক্ষেত্রে আপনাকে শুনতে অভ্যস্ত হতে হবে। মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। এবং সামনের মানুষটাকে বুঝাতে হবে আপনি তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। সো ট্রাই টু বি অ্যান অ্যাক্টিভ লিসেনার!

➤ কারো সাথে কমিউনিকেট করার সময় নার্ভাস না হয়ে কনফিডেন্টলি কমিউনিকেট করতে হবে। যেই বিষয়ে কথা বলবেন, কনফিডেন্ট এর সাথে বলবেন। ভুল করলে ও কনফিডেন্টলি করতে হবে।

➤ সামনাসামনি কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে বডি ল্যাংগুয়েজ এবং কথার সুর গুরুত্বপূর্ন। বিনয়ের সুরে কথা বলতে হবে। কথা বলার সময় আপনার বডি ল্যাংগুয়েজ যেনো এমন কিছু ইঙ্গিত না করে যাতে সামনের মানুষটা ভাবে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বা তাকে শুনতে চাইছেন না, বিরক্ত হচ্ছেন। আপনি যদি তার দিকে হালকা ঝুঁকে কথা বলেন বা শুনেন তাহলে সে এটা ফিল করতে পারে যে আপনি তাকে গুরুত্ব দিয়ে শুনছেন।

➤ আই কন্ট্যাক্ট ঠিক রাখা টা ও জরুরী। আপনি কথা বলার সময় এদিক ওদিক তাকিয়ে থাকলে সামনের মানুষটা মনে করবে আপনি তার সাথে কথা বলতে চাইছেন না বা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে না পারলে তাদের আইভ্রুর দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারেন।

➤ কারো সাথে ২-৪ দিন কমিউনিকেট হলেই তাকে সব কিছু বলে দেওয়া,বা তার ভুল নিয়ে খোঁচা দেয়া – এই জিনিসটা অ্যাভয়েড করতে হবে। এটা করা যাবে না। এতে করে সামনের মানুষটা নেক্সট টাইম আপনার সাথে কথা বললেও আপনাকে পাত্তা দিবে না, অ্যাভয়েড করবে এবং আপনার সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করবে।

➤ কমিউনিকেট করার সময় আপনার শব্দ চয়নের পারদর্শীতার উপর নির্ভর করে কনভারসেশন টা কত সুন্দর হবে বা সামনের মানুষটার উপর আপনার কথা কতোটুকু ইফেক্ট ফেলবে। অপ্রয়োজনীয় কথা এড়িয়ে ইম্পর্ট্যান্ট কথাটুকু সুন্দর ভাবে ডেস্ক্রাইব করার চেষ্টা করতে হবে।

➤ আপনি যার সাথে কমিউনিকেট করছেন, সে সব সময় আপনাকে বেটার ফিডব্যাক দিবে এমন না। সে তখনই আপনাকে ফিডব্যাক দিবে যখন সে ফিল করতে পারবে আপনি তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

➤ অ্যাক্টিভ লিসেনিং এর ক্ষেত্রে আমরা একা একা কথা বলবো না, নিজের কথা বলবো এবং অবশ্যই সামনের মানুষটাকে সুযোগ দিবো, তার কথা শুনবো। কমিউনিকেশন যখন কনভার্সেশন হয় তখন মানুষ বেটার ফিল করবে আপনার সাথে কমিউনিকেট করতে।

➤ কমিউনিকেট করার সময় কখনোই আপনি সামনের মানুষটাকে জাজ করবেন না (আপনার এই কাজ টা ভালো না, এটা হয়নি, ওটা হয়নি এভাবে) । এটা করলে সামনের মানুষটা পরবর্তীতে আপনার সাথে কথা বলার আগ্রহ পাবে না বা বিরক্ত হবে।

➤ আপনাকে এই মনোভাব নিয়েই কারো সাথে কমিউনিকেট করতে হবে যে, মানুষটা আপনার কথার সাথে সহমত হতে পারে অথবা বিপরীত মতের হতে পারে। বিপরীত মতামত কে আপনার শ্রদ্ধা করা শিখতে হবে।

➤ কমিউনিকেট করার সময় আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে চেষ্টা করবেন প্রশ্ন টা নোট করে রেখে সামনের মানুষটার কথার মাঝে না বলে কথা শেষ হলে তারপর বলতে। তাহলে মানুষটা বুঝবে আপনি তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন।

.

▪️কমিউনিকেশন টোটালি তিন ধরনের হয়।

1. Aggressive communication
2. Passive communication
3. Assertive communication

▪️Aggressive communication বলতে আমরা বুঝি, যেখানে আমরা ফোর্সফুলি মানুষকে কমিউনিকেট করানোর চেষ্টা করি। কোনো নির্দিষ্ট টপিকে বা নির্দিষ্ট সময়ে কথা বলানোর জন্য প্রেসারাইজ করি। যেমন এটা তোমাকে বলতেই হবে বা এখনই কথা বলতে হবে এরকম।

▪️ Passive communication বলতে আমরা বুঝি, যেখানে আমরা শুধু নিজের কথাই বলতে থাকি, একাই বলতে থাকি, সামনের মানুষটা কী ভাবছে কী চিন্তা করছে সেটা ম্যাটার করে না। তাকে কথা বলার সুযোগ দেইনা।

▪️Assertive communication বলতে বুঝি, যেখানে আমরা ক্লিয়ারলি নিজেদের কথা বলি এবং সামনের মানুষটা সম্পর্কে জানতে চাই, তাকে নিজের কথা বলার সুযোগ দেই, কোনো বিষয়ে তারও মতামত নেই। এই কমিউনিকেশন একটা কনভারসেশন এ পরিণত হয়।
আমরা চেষ্টা করবো assertive ওয়ে তে কমিউনিকেট করতে। এতে করে উভয়েই কথা বলার আগ্রহ পাবে।

.

একটা সমাজে বাস করতে গেলে অবশ্যই অন্যের সাথে কমিউনিকেট করার প্রয়োজন পড়ে। আপনি যদি সেটা সঠিক ভাবে করতে পারেন তবে তা আপনার কাজে সফলতা দিবে এবং জীবনকে সুন্দর করতে সহায়তা করবে।