ডিভাইস ব্যবহারে সমস্যা ও সমাধান

ডিভাইস ব্যবহারে সমস্যা ও সমাধান

আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন বা টাচস্ক্রীন মোবাইল যাই বলেন, এটি আমাদের প্রতিদিনের সাথী। এটি আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক রকমের ক্ষতি করে যাচ্ছে যা আমরা সবাই কম-বেশি অবগত আছি।

দরকারে হোক বা দরকার ছাড়া অতিরিক্ত টাচস্ক্রীন মোবাইল বা ল্যাপটপ পিসির ব্যবহার আমাদের মুখের ত্বকে, মাথায় আর মনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। চলুন এ-সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিই।

মোবাইল বা পিসির লাইট বা বৈদ্যুতিক পর্দা এসে সরাসরি আমাদের চামড়ার উপর পড়ে। যা আমাদের চর্মের জন্য খুবই ক্ষতিকর বিশেষ করে চোখের জন্য। ৩০ বছরের পরই অনেকের চোখের চারপাশে ছোট ছোট বলিরেখা দেখা দেয়। আবার অনেকের ২০ বছর পার হলেই বলিরেখা দেখা যায়!

একটনা কয়েকদিন যদি কেউ মোবাইল বা পিসির দিকে দিনের বেশিরভাগ সময় তাকিয়ে থাকে, তাহলে কিছুদিন পরই তার চোখে, মাথায় ব্যথা হয়। কোনো এক চোখে অল্প বা ঝাপসা দেখা শুরু হয়ে যায়, ক্রমান্বয়ে যা বাড়ে। তাছাড়া একটানা তাকিয়ে থাকার ফলে মাথা ভীষণ ভারী ভারী লাগে, ভালো করে কথা বলতে ইচ্ছে করে না, চোখ বুজে শুয়ে থাকলে ভালো লাগে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

মোবাইলে লেগে থাকা জীবাণু, ব্যক্টেরিয়া যখন মোবাইল থেকে আপনার গালে কানে লাগে, তখন এ-থেকে ব্রণ হয়ে যায়।

🔹আপনার জন্য করণীয়:

১. একটানা দীর্ঘ সময় মোবাইল বা পিসির দিকে তাকিয়ে থাকবেন না, এলোভেরা জেল কিনে আনতে পারেন। মুখে লাগানোর ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিবেন।

২. কালো সানগ্লাস বা যেকোনো জিরো পাওয়ারের চশমা পরে মোবাইল, পিসি ব্যবহার করুন। হাস্যকর হলেও সত্যি যে কালো চশমা বা সানগ্লাস পরে মোবাইল, পিসি ব্যবহার করলে চোখে অনেক আরাম পাওয়া যায়। কোনো গবেষণা বা ডাক্তারি পরামর্শ নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন।

৩. মোবাইল ফোন ওয়েট টিস্যু বা মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে প্রতিদিন একবার মুছে রাখলে ভালো হয়। কারণ আগে বলেছি মোবাইলে লেগে থাকা ব্যাকটেরিয়া মোবাইল থেকে আপনার গালে বা মুখের যেকোনো অংশে লাগলে মুখের চামড়ায় এর সংক্রমণ ঘটে, যার ফলে মুখে দেখা যায় ব্রণ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *